গভীর রাতে গাঁয়ের পথে জনমানব কম,
এমন সময় ঝিঁঝি পোকার দেখবো সমাগম।
শুনতে পাচ্ছি কান পেতে ঝিঁঝি পোকার গান,
আছে সাহস আছে বল খাড়া রাখছি কান ।
ভয় ডর করি না আমি দেখবো আজ ঘুরে,
ঘুটঘুটে এই অন্ধকারে বাঁশ বাগানে মোড়ে ।

গাঁয়ের পথে ঝাড় জঙ্গলের মাঝে সরু পথ,
অন্ধকারে পা হরকালেই আছে ঘোর বিপদ।
দেখবো আমি পণ করেছি যেদিন আসছি গ্রামে,
অন্ধকারময় সরু রাস্তায় সবাই এসে থামে ।
তবু যেনো শুনবো আজ ঝিঁঝি পোকার ডাক,
গভীর রাতের অভিজ্ঞতা একবার হলেও থাক।

মেঠো পথ চিকন সরু রাস্তা আঁকাবাঁকা,
আঁকাবাঁকা গায়ের পথ গভীর রাতে ফাঁকা ।
বাঁশ বাগানের ঝোপ ঝাড়ে ঘেরা ঝিঁঝি পোকা,
নিশি রাতের অন্ধকারেই পেলাম ওদের দেখা।
মাথার উপর আকাশ ভরা আছে লক্ষ তারা,
সরু পথের উভয় পাশে গাছগাছরায় ভরা ।

বাঁশ বাগানের মোড়ে এসে যখন দিলাম পাড়া,
ডাক শোনাচ্ছে ঝিঁঝি পোকা আমার কান খাড়া।
হাজার হাজার ঝিঁঝির ডাক শুনি আমার কানে,
যৎসামান্য হালকা ভয় ধাক্কা লাগে মনে ।
সাহস নিয়ে ভেবে দাঁড়াই পাবো অনেক মজা,
গভীর রাতের মজা নেয়া এতোটাই কি সোজা?

বাঁশ বাগানে চেয়ে দেখি বাদুড় উড়াউড়ি,
ঘুটঘুটে এই অন্ধকারে ওদের বাহাদুরি  ।
যোগ দিয়েছে হুতোমপেঁচাও থেমে থেমে ডাকে,
এবার বুঝি ভয়ই পেলাম ডাকি আমি মাকে ।
গভীর রাতে ডাক শুনে মা মাথার কাছে হাজির,
ততক্ষণে বুঝতে পারলাম গভীর স্বপ্নের নজির।