চাঁদনী রাতে চাঁদের আলো সাগর জলে পড়ে,
জল জোছনা সৃষ্টি করে ঝলমল রূপ ধরে।
সাগর জল টলমল করে নির্জনতা আনে,
পিন পতন নিরবতায় জল জোছনা বানে।
জল জোছনায় মাখামাখি কবির মন জাগে,
কবির মনের কবিতারা ঝরে কুসুমবাগে।


মাঝ সাগরে নির্জনতায় জাহাজগুলো ভাসে,
নিরবতার নির্জন স্পর্শে কবির মন হাসে।
কবি তার মনের খাতায় শুধুই লিখে চলে,
গভীর রাতের যতো কথা জল জোছনা বলে।
কবির মনে মাধুরতা প্রাণে গুঞ্জন তুলে,
তার অন্তরে সব দরজা জল জোছনা খুলে।


পিন পতন নিরবতাই জাগায় কবিতাকে,
কবিতারাই কবি মনকে সদাই ব্যস্ত রাখে।
তার মনের অন্তর দৃষ্টি সব জড়িয়ে ধরে,
অন্তর দৃষ্টি সুর ধরায় একাই লড়ে লড়ে।
সঙ্গী সাথী বলতে শুধু কবিতাকেই পায়,
কবিতাকে আঁকড়ে ধরে তাকেই লিখে  যায়।


শুনশান জল জোছনায় মনে পালকি দোলো,
কবি তখন হারিয়ে যায় জল জোছনার কূলে।
জল জোছনায় জোছনা তারা মিটিমিটি জ্বলে,
জোছনা তারা কবির সাথে মনের কথা বলে।
ভাবনা তুলে মনের কোণে বাজনা বেজে উঠে,
কবি মনের আসল রূপ গভীর রাতে ফুটে।


মনের ভেতর কিরণ পড়ে নির্জনতার সুরে,
জল জোছনা দেখতে গিয়ে সাগর জলে ঘুরে।
সাগর জলে ভাসায় তরী চাঁদের আলো দেখে,
শূন্য জীবন পূর্ণতা পায় জল জোছনা মেখে।
কূলহারা এ জল জোছনা দেখতে যদি চাও,
গভীর রাতে সাগর জলে কবির সাথে যাও।