জল তুমি বলো দেখি কতো জল তুমি,
চাপা পড়ে কেঁদে মরে নিচে থাকা ভূমি।
তীরে থেকে ফিরে দেখি জলে ভরপুর,
ও সাগর বলো শুনি তলা কতো দূর ?
জলে ভাসা ঢেউ দেখি উল্টে পাল্টে যায়,
ঢেউয়ের সাথে ঢেউ, জলে ধাক্কা খায়।


জল তুমি বাষ্প হয়ে আকাশেও উড়ো,
উড়ে যেতে মেঘ হয়ে শূন্যে উড়ে ঘুরো।
আবার দেখি স্থলে উঠে বন্যা বয়ে দাও,
ঘরবাড়ি ভেসে যায় কি সাধটা পাও ?
স্রোতধারায় প্রাণ যায় কতো লোক মরে,
পশুপাখি মরে গিয়ে পড়ে থাকে চরে।


ঘর নড়ে পাতা ঝরে অতি জলের চাপে,
বাড়িঘর ভেঙ্গেচুরে যাও ধাপে ধাপে।
শক্তি ছুড়ে এমন করে কি শান্তিটা পাও,
মানবতা শিকেয় তুলে আসলে কি চাও?
লোকে বলে জলে প্রাণ জল পানে শান্তি,
বন্যা হয়ে জনমনে ছড়িয়ে দাও ভ্রান্তি।


সাগর বুকে যতোদিন তুমি থাকো শান্ত,
গান গেয়ে আত্মসুখে জনগণ ক্ষান্ত।
অনাবৃষ্টি যদি থাকে চায় তবে জল,
জল বিনে পানাহার নিতান্ত অচল।
সৃষ্টি হলে অনাবৃষ্টি ভারসাম্যটা চায়,
মাঠ ভরা বৃষ্টি হলে জলের গুণ গায়।


যদি তুলো ঝড়োগতি উঠে ঘূর্ণিঝড়,
ধ্বংস করে তুমি থামো ভেঙ্গে বাড়িঘর।
শান্ত তুমি ভ্রান্ত করে বদনামিটা হয়,
জমিজমার সাথে করো ঘরবাড়ি ক্ষয়।
উত্তর ছাড়া বুঝে যাই কতো জল তুমি।
জল বিনে মাটি হয় শূন্য মরুভূমি ।