আবার ফিরে ঈদ এলো কেমন করে মন,
বন্যার জলে ভাঙ্গাচোরা সব আপনজন।
খেয়ে পরে বাঁচার কূলে মগ্ন সব স্বজন,
সব হারিয়ে এলোমেলো সব যেনো কেমন।
সাঁঝ আকাশে মেঘ দেখে চমকে উঠে প্রাণ,
এইতো বুঝি জল আসলো তলালো উঠান।


মন এখন জলে ভাসা ঈদ এবার পর,
দিনরাত চিন্তায় মগ্ন আগে বাঁচুক ঘর।
এলোমেলো বন্যার জল মেরেই দিয়ে গেলো,
শস্যদানা সব তলিয়ে চাল-চুলোটাও নিলো।
এই প্রাণ বেঁচে থাকলে কতোই ঈদ আসবে,
ঈদও তখন নতুন করে মুখ ফিরে হাসবে।


শূন্য মনে খুশির ঈদ বিষাদ নিয়ে এলো,
আপন মনে প্রাণে বেঁচে যুগের সাথে চলো।
ক্রমে ক্রমেই প্রকৃতিটা শুষ্ক হয়ে আসছে,
আড়াল থেকে সূর্যখানি কেনো জানি হাসছে।
ঈশান কোণে মেঘ দেখে গা-টা চমকে উঠে,
মেঘ দেখে পাগল মন আকাশ পানে ছুটে।


হাঁসমুরগি যতো ছিলো বেচে খেয়েই শেষ,
আশ্রয় কেন্দ্রে বাদবাকি ত্রাণে চললো বেশ।
বন্যার জলে ভেসে গিয়ে সব হারিয়ে নিঃস্ব,
হঠাৎ করে বানে ভেসে সমান গুরুশিষ্য।
আশায় আছি ভাগ্যে যদি ফিরে সামঞ্জস্য,
ফসল মাঠে কবে আসবে নতুন রবিশস্য।


ছোট বড় সবার মুখ স্রোতের জলে মলিন,
ঘোলা জলে ঈদ আনন্দ মন থেকে বিলীন।
থালাবাটি সব হারিয়ে বন্যার জলে মিশে,
দায়ে পড়ে ঈদের চেয়ে প্রাণকে ভালোবাসে।
ঈদের আগে কাঁথা কম্বল বন্যার জলে ভাসে,
এ জীবনে এমন ঈদ আর যেনো না আসে।