নিগৃহীত প্রজাকুলে অটুট জমিদারি,
স্মৃতিচিহ্নে দর্শনার্থী করছে পাড়াপাড়ি।
উৎসাহী জনগণ আসছে বারোমাস,
রক্ত চুষা জমিদারি এখন ইতিহাস।


ঘামঝরা শ্রম দিয়ে করতো চাষাবাদ,
কর দিয়ে প্রজাকুল রুখতো অপরাধ।
জমিদারি রক্ত চুষা ছিলো জানাশোনা,
ফসলাদি চলে যেতো পুরোই ষোলআনা।


পরধনে পোদ্দারীটা চড়ে উঠতো বেশ,
লাঠিয়াল রুখে দিলে মেরে করতো শেষ।
বারোমাস শ্রম দিয়ে আয়ের খাতা শূন্য,
কৃষকের ফসলাদি লুটেপুটেই পুণ্য।


অতিরিক্ত কর নিতে থাকতো উন্মাতাল,
প্রজাকুলে নেমে যেতো তাদের লাঠিয়াল।
বিনাদোষে শাস্তি দিতে খুঁজে ফিরতো ফন্দি,
ধরে এনে করা হতো চার দেয়ালে বন্দি।


কুঠুরিতে ঠায় হতো কূয়ার অনুরূপ,
রাতদিন বুঝা দায় এমন অন্ধকূপ।
প্রতিবাদে প্রাণ যেতো ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলে,
জল্লাদেরা শিক্ষা দিতো ছাল চামড়া তুলে।


চাপাকান্না ভেসে আসে আগন্তুকের কানে,
বর্তমান অবস্থাটা কাক পক্ষীও জানে।
মুক্তাগাছা মুক্তা নেই তবু আজ স্বাধীন,
জমিদারি মুক্ত হয়ে বাজে সানাই বীণ।