মেঘালয়ের পাদদেশে ঝর্ণার জল,
পাথরের ছোঁয়া পেয়ে করে টলমল।
দিন-রাত জল পড়ে নদী বেয়ে যায়,
জল পড়ে ছুটে চলে দূর সীমানায়।


তীর বেগে নিচে পড়ে স্রোত হয়ে ছুটে,
সুশীতল জল দেখে মনে ফুল ফুটে।
জল ঠেলে পাদদেশে গড়ে উঠা নদী,
বয়ে যায় স্রোতধারা চলে নিরবধি।


মাটি ঘেঁষা ছোট-বড় পাথরের তল,
পাথরে গড়ানো জল থাকে সুশীতল।
সবুজের ছায়াতলে অনন্য হাওয়া,
অস্থায়ী হোটেলে চলে দেদার খাওয়া।


সাদা পাথরের স্তরে জলে মাখামাখি,
প্রাণ ভরে যত দেখি তবু থাকে বাকি।
ডুব দিতে মনে চায় সুশীতল জলে,
জলে নেমে গড়াগড়ি দিনভর চলে।


খাড়া জল নিচে পড়ে স্রোতে হয় ঠাঁই,
দ্রুত বেগে ছুটে চলে অনুনয় নাই।
পাহাড়ের গোড়া থেকে হাঁটুজল ধারা,
সারা গায়ে মেখে নিতে শুরু হয় তাড়া।


স্বচ্ছ জলে সাদাকালো পাথরের স্তুপ,
হাঁটু জলে নেমে গেলে মন হয় চুপ।
ঝর্ণার শীতল জলে বসে থাকে মন,
জলে বসে ভুলে যায় গেলো কতক্ষণ।


সুন্দরের পূজারিরা ছুটে চলে আসে,
মন ভরে মেঘালয়ের এই পাদদেশে।
সিলেটের শেষ সীমা মায়াজাল ভরা,
ভোলাগঞ্জে সুর তুলে ঝর্ণার ছড়া।