ঝর্ণারে তুই কেমন আছিস আজকে আমায় বল,
নীল পাহাড়ের পাথর ছুঁয়ে ঝরছে শুধুই জল।
তোকে দেখলে ফুটে হাসি
তাই তো তোকে ভালোবাসি
দেখতে আমি বারবার আসি তোর-ই আঁচল তল।


তুই যে আমার নয়নমণি আজ করে নে সাজ,
পরাণ ভরে দেখবো তোকে ভয় কেন রে আজ?
স্বপ্নরাজ্য বাংলা মায়ে
দেখতে নামি খালি পায়ে
ঝর্ণারে তুই শ্যামল গায়ে নোলক দোলা তাজ।


চোখ রাঙিয়ে গুনগুনিয়ে মন যে কথা কয়,
আঁচলে তোর বাঁধা এ মন তা তো গোপন নয়।
ঝর্ণারে তোর শব্দ শুনে
মুগ্ধ যে তোর রূপে গুণে
রূপের ছায়ায় স্বপ্ন বুনে আজকে যে নাই ভয়।


ঠায় দাঁড়িয়ে পাহাড় টিলা সবুজ বনে ঘেরা,
পাহাড় ছোঁয়া ঝর্ণা ধারা বাংলা মায়ে সেরা।
খাড়া পাহাড় ভেঙ্গেচুরে
পানির ধারা ঝর্ণা জুড়ে
ভেতর মনে কেতন উড়ে সুরের ছোঁয়ায় ফেরা।


সাদা মেঘটা নিচে এসেই পাহাড় ঠেসে ধরে,
গাছের শাখায় ধাক্কা খেয়ে ঝরঝরিয়ে পড়ে।
স্রোতের ধারা লেগে যায়
পাহাড় ঘেঁষে ধাক্কা খায়
সুরের তালে মন মাতায় ছড়িয়ে নিচে ঝরে।


পানির স্রোতে ঢালু পথে ঝর্ণা বয়ে যায়,
ছড়িয়ে পড়া মেঘের পানি মাটিতে গড়ায়।
নিচের দিকে খাড়া ছুটে
ঝর্ণার জলে ফুল ফুটে
মন-আনন্দ লুটেপুটে ছুটলো অচিন গায়।