খরস্রোতা পদ্মার বৈশাখী হাল,
মাঝখানে বালুচর নায়ে নেই পাল।
চর ঘেঁষা জল আর চিকচিক বালি,
ধূলি উড়া বালুচর পড়ে আছে খালি।


নদী জুড়ে চর দেখে হাহাকার উঠে,
বাতাসের তাড়া খেয়ে ধূলাবালি ছুটে।
স্রোত নেই পাক নেই হাঁকডাকহীন,
বলা চলে মরা খাল কোথাওবা বিল।


মাঝে মাঝে হাঁটুজল পায়ে হাঁটা যায়,
হাঁটুজলে ছোট খেয়া ঘুরপাক খায়।
আবদ্ধ জলে নেই যৌবনের টান,
অসংখ্য চর জেগে হারিয়েছে মান।


হাজারো মানুষ এসে বালুচর দেখে,
মন জুড়ে বৈরীতা নিয়ে যায় এঁকে।
কেউ কেউ চরে নেমে খালি পায়ে হাঁটে,
কেউ বসে তীর ঘেঁষা পাথরের ঘাটে।


কারো মনে বর্ষার অশান্ত রূপ,
চরমুখো চেয়ে থেকে ভাবনায় চুপ।
ভাবনাটা মনে আসে সেই পদ্মার,
ভাঙ্গা আর গড়া নিয়ে যার কারবার।


আজ কোন ঢেউ নেই স্রোত নেই গায়ে,
চরে নেমে মন ভরে হেঁটে খালি পায়ে।
কলকল ধ্বনি নেই তলানিতে জল,
কাছে গেলা দেখা যায় জলে ঢাকা তল।