গাছের গায়ে চোং লাগিয়ে, রসের ফোঁটা ধরে,
বেরিয়ে আসে রসের ফোঁটা, এসে কলসি ভরে ।
থাকে যদি শীত সকালে, কলসি ভরা রস,
রস পানে তৃপ্তি আনে,  আসে গায়ে যশ ।
কেউবা খায় খেজুর রস, কেউবা বানায় তাড়ি,
ধুম পড়ে যায় শীত সকালে, সবার বাড়ি বাড়ি ।
কলসি ভরা খাঁটি রসে, পুষ্টিগুণে ভরা,
শীত সকালে পায়েশ হয়না, খেজুর রস ছাড়া।
খেজুর রসের গুড় বানিয়ে, বানায় শীতের পিঠা,
স্বাদের জন্য পিঠার ভেতর, দেয় গুড়ের ছিটা।
শীতের সন্ধ্যায় পিঠা দোকানির, খেজুর পিঠা খায়,
পাতিল ভরে জামাই বাড়িত, খেজুর পায়েশ যায়।
দুধে ভাতে পাঠালী গুড়, বাঙ্গালীর হৃদয় জুড়ে,
পাঠালী গুড় বাজার থেকে, তাইতো আনে ঘরে ।
পৌষ মাসে ঘন কুয়াশায়, খেজুর রসের মাঠা,
নজর কাড়ে ফেরিওয়ালার, কাঁধে নিয়ে হাটা ।
সারি সারি খেজুর গাছ, গাছে ঝুলছে হাঁড়ি,
ঝুলে আছে চোং এর মাথায়, হাঁড়ির গলায় দড়ি।
বেশি বেশি লাগাই গাছ, খেজুর গাছের চারা,
বাঁচবে ঐতিহ্য বাঁচবে পরিবেশ, গাছ লাগানোর দ্বারা।