কবিমন কবিতায় থাকে বারোমাস,
দৃঢ় মনে করে যায় কবিতার চাষ।
সময়ের দোলাচলে চাঁদ আর রবি,
জাগরূক তার চোখে কলমের ছবি।


মনে থাকা কথাগুলো ঘুরপাক খায়,
কলমের ছোঁয়া পেয়ে আসে কবিতায়।
খাতা আর কলমের করে ব্যবহার,
মন ভরে সুর তাল তুলে বারবার।


একে একে শব্দ বসে ছক বাঁধা সারি,
ধীরে ধীরে গড়ে উঠে কবিতার বাড়ি।
সুর ছন্দে তার মন হয় একাকার,
কবি আর কবিতাই তার পরিবার।


রবি শশী কবিমন নাড়া দিয়ে যায়,
ছন্দ এঁকে ভালোমন্দ সব বুঝে পায়।
রবি দেখে মন প্রাণ হয় ধাবমান,
পূর্ণ শশী কবিমনে আঁকে সারিগান।


ভাব আসে কবিমনে গায় প্রেমগীতি,
ভাবটুকু তুলে আনে মেনে রীতিনীতি।
ভাব তুলে তার মন থাকে মাঠে ঘাটে,
প্রকৃতির গুণগান উঠে আসে পাঠে।


সাগরের কত জল বুঝে উঠা দায়,
কবিমন বলে উঠে মরি হায়হায়।
ধেয়ে আসা ঢেউ থেকে ভাসে জলছবি,
সাগরের তীরে এসে জেগে উঠে কবি।


আকাশটা ছুঁয়ে যায় দেখে ফুল পাখি,
সব রঙ মনে ঢুকে করে মাখামাখি।
রঙগুলো ছুটে এসে তুলে সুর তাল,
কবি মনে উড়ে চলে কবিতার পাল।