টাকি মাছে কচি লাউ স্বাদে ভরপুর,
খেতে বসে গিলে খাই গলা যত দূর।
ঘরে ঘরে সারাদেশে আছে সমাদর,
কচি লাউ পাতে দিলে খুশি হয় বর।


রাঁধুনিরা বারেবারে কচি লাউ চায়,
রুচিশীল পাক করে মজা করে খায়।
যত খায় তত চায় আরো সাধ জাগে,
বড়রাই বেশি চায় লাউ মাছ ভাগে।


কৃষকের ক্ষেত ভরে দেশি লাউ ঝুলে,
কাঁচি হাতে চাষীভাই কচি লাউ তুলে।
নিজে খায় বেচে দেয় শহরেও যায়,
পাইকার লাউ কিনে পাল তুলে নায়।


শীত এলে দেশি লাউ পায় সমাদর,
লাউ চাষে চাষীভাই ভরে তুলে চর।
চাহিদাটা পাড়া গাঁয়ে আবদ্ধ নেই,
অলিগলি ভরে তুলে পুরো শহরেই।


খায় শুধু লাউ নয় পাতাটাও চায়,
চিংড়ির ছানা দিয়ে লাউশাক খায়।
লাউশাক পাতে দেখে চোখে ফুটে আলো,
আগা ডগা কচি পাতা শুঁটকিতে ভালো।


সবজির চাহিদায় লাউ আর পাতা,
বাংলার ঘরে ঘরে জনমনে গাঁথা।
বাজারের তালিকায় অনেকেই রাখে,
লাউ নয় অনেকেই কদু বলে ডাকে।


লাউ কদু যাই বলি এটা দরকারি,
পাতে উঠে খালি হয় রাঁধুনির হাঁড়ি।
যত দাও পাতে তুলে দুধ দই গজা,
আগা ডগা কচি পাতা কচি লাউ মজা।
---------------------------------


[আজ দুপুরে শ্রদ্ধেয় প্রিয় বরেণ্য কবি মার্শাল ইফতেখার আহমেদ আমাকে বললেন লাউ দিয়ে কবিতা লিখেছি কিনা? এমটা আমার মনে পড়ে না; তাই আজ লাউ দিয়েই লিখার চেষ্টা করলাম; আর এজন্যই আমার আজকের এ কবিতা প্রিয় বরেণ্য কবি মার্শাল ইফতেখার আহমেদকেই উৎসর্গ করলাম।]