চৈতী হাওয়ায় উঁচু গাছের, শাখায় বসে থাকে,
ভর দুপুরে চৈত্র মাসে, কোকিল কেনো ডাকে?
দেখতে ছোট কোকিল পাখি, উঁচু ডালে বসা,
শ্রুতিমধুর উচ্চ কণ্ঠ, গলায় স্বরে ঠাসা।
গাছের ছায়ায় বসে আছি, কোকিল কণ্ঠ শুনে,
উচ্চ স্বরে ডেকে যাচ্ছে, সময় গুনে গুনে।


উঁচু গাছের লম্বা সারি, বিমানবন্দর কাছে,
যখন বিমান ছেড়ে যায়, গাছের পাতা নাচে।
বিমান ছেড়ে উঁচু গাছের, নিকট দিয়ে যায়,
গাছের নিচে বসা মানুষ, আকাশ পানে চায়।
বিমান যখন চলে যায়, কোকিল ডেকে উঠে,
ছেড়ে যাওয়া সকল বিমান, উপর দিকে ছুটে।


এয়ারপোর্টের ভিআাইপি রোড, মানুষ আসে কম,
নির্জন জায়গায় উঁচু গাছে, কোকিল সমাগম।
ব্যস্ত সকল নগরবাসী, কোকিল কোথায় পায়,
কোকিল ডাক তারাই শুনে, যাঁরা ওখানে যায়।
দিন দুপুরে কোকিল কণ্ঠ, বড় মধুর লাগে,
শুনে শুনেও মন ভরে না, আরো সাধ জাগে।


কোকিল কণ্ঠ বড় মধুর, মনে নাড়া দেয়,
থেমে থেমে ডেকে ডেকে, মনটা কেড়ে নেয়।
তার কণ্ঠ শুনতে গেলাম, উঁচু গাছের নিচে,
টিস্যু পেতে বসে রইলাম, ইট পাথরের পিচে।
যাত্রীবাহী বিমান উড়ে, উড়ার আওয়াজ কানে,
মধুর কণ্ঠে কোকিল ডাকে, এটাই শুধু মনে।


কোকিল ডেকে বলে দিচ্ছে, বসন্ত দিন শেষ,
বসে থেকেও সময় কাটে, চৈতী হাওয়ায় বেশ।
বনের কোকিল বনে থাকে, ডাকার সময় ডাকে,
মধুর কণ্ঠে ডেকে যাচ্ছে, বৈশাখ সামনে রেখে।
কোকিল যখন চলে যাবে, বসন্ত শেষ হলে,
এতো মধুর কোকিল ডাক, যাবো না আমি ভুলে।