কলাগাছ কলা দেয়, গাছে বানায় ভেলা,
ভেলা বেয়ে সারাদিন ধরে মলা ঢেলা।
কলাগাছের ভেলা দেখি জলের 'পর চলে,
সাঁতার জল পাড়ি দিয়ে কতো কথা বলে।
কেউ দেখি গান গায় জলের বান দেখে,
সুর তুলে তাল তুলে মনে রঙ মেখে।


মন প্রাণ নেচে যায় বেচে যায় কলা,
বেচে গিয়ে টাকা নিয়ে শুরু পথ চলা।
কলা দেয় বাড়তি আয় পকেট নেয় ভরে,
পাকা কলা ছোটবড় খায় ঘরে ঘরে।
দেশি কলা টিপে টিপে ছোট বাচ্চাও খায়,
কলা ছিলে অল্প অল্প তুলে দেয় মায়।


কলাগাছ কেটে নেয় হাতি পুষে যারা,
হাতি খেয়ে পেট ভরে কলাপাতা দ্বারা।
ডালপালা সহ খায় টেনেটুনে যায়,
শূঁড়ে টেনে কলাগাছ হাতি শান্তি পায়।
ছুটে চলা বন্য হাতি কলা বনে থামে,
কলাগাছ খেয়ে নিতেই দলবেঁধে নামে।


খাবার জন্য কলাপাতা থালার কাজে লাগে,
কলাপাতায় খাবে বলে উঠে কুসুমবাগে।
খিচুড়িটা কলাপাতায় জমে উঠে বেশ,
থালা ছাড়া পাতায় নিয়ে খেয়ে করে শেষ।
কলাপাতা কেটেকুটে ঘরের বেড়া বাঁধে,
গ্রামেগঞ্জে দেখা যায় কারো ঘরের ছাঁদে।


গাছ পাতা কলা দেখি কতো কাজে লাগে,
ভালোভাবে বেঁচে থাকার তারও সাধ জাগে।
এতো কাজ কলা করে তবুও দাও গালি,
কলাগাছের উপমায় ঝাড়ো ধুলাবালি।
"কলাগাছের মতো বলে" তাই প্রকাশ পায়,
খাবে বলে পাকা কলা হাতে নিয়ে যায়।