কাজ নিয়ে এতোদিন নেই যার তাড়া,
মন খুলে দেখে নাই শ্রাবণের ধারা।
ঢিলেঢালা মন প্রাণ ছিলো জ্বালাময়,
জল দেখে দূর হলো সেই সংশয়।


বর্ষায় জল নাই ভাদ্র শেষে ঢল,
কৃষকের ঘর জুড়ে আনে কোলাহল।
রোদে পোড়া জমি ছিলো চৌঁচির ধাঁচে,
জল ছাড়া মরে তারা ভাতে আর মাছে।


আমনের নিড়ানিটা করা যাবে শুরু,
বর্ষার জল ছাড়া ছিলো দুরুদুরু।
ধূলি উড়া জমি দেখে ছিলো হাহাকার,
জমি জুড়ে আনাগোনা করে বারবার।


হাহাকারে এতো জ্বালা কত আর সয়,
জলশূন্য জমি নিয়ে ছিলো তার ভয়।
হাই তুলে দম ছাড়ে কমজোরি মন,
চড়া রোদে পুড়ে পুড়ে গুনে দিনক্ষণ।


ফসলের মাঠঘাটে কাদা নয় ধূলি,
জল ছাড়া কেঁদে গেছে পোড়া মাঠগুলি।
ঢল নামা জল দেখে শুরু ডাকাডাকি,
ঘুমন্ত কৃষকের খুলে গেলো আঁখি।


শস্য উৎপাদনের বিকল্প নাই,
কৃষকের নিতে হয় জমিতেই ঠাঁই।
যে সময়ে যে কাজ আমন আর রবি,
ঘাম ঝরা জমিতেই তার জলছবি।