আকাশের গায়ে আজ কুয়াশার হানা,
ঘন সাদা কুয়াশায় পথঘাট কানা।
হিমেল হাওয়া আর সেইসাথে শীত,
একদিনে পরিবেশ হলো বিপরীত।


গতকাল দেখা গেছে ঝলমলে রোদ,
রাত শেষে আজ যেন নিলো প্রতিশোধ।
বাংলার কোল জুড়ে নিদারুণ হাল,
হিম বায়ু ভারী হয়ে করে গালাগাল।


সারা গায়ে কাঁপুনিটা তুলে অবশেষে,
কুয়াশাটা ছুটে আসে কান মাথা ঘেঁষে।
হাড় কাঁপা কাঁপুনিতে অতি শীত বোধ,
গরম কাপড়ে ঢেকে করে প্রতিরোধ।


উত্তরের জনপদে দুর্যোগটা বেশি,
গায়ে লোম খাড়া হয়ে শীতে কাঁপে পেশী।
বুড়ো বুড়ি ছোট শিশু শীত রোগে কাবু,
অতি শীতে কাবু হতে বাদ নেই বাবু।


শীত থাকে পৌষ মাঘ এই দুই মাস,
পৌষ এর ঘাড়ে নেয় মাঘে নিঃশ্বাস।
লতা-পাতা ভরে জল ঝরে ফোঁটা ফোঁটা,
গায়ে মেখে শুরু হয় কাঁপুনিটা উঠা।


ভরা শীতে মাঝে মাঝে প্রবাহটা বাড়ে,
কাঁপুনির ঝাকুনিটা বুঝে হারে হারে।
মেঘমালা ভোর রাতে ঢাকে ঘরবাড়ি,
শৈত্য প্রবাহ আর কুয়াশার ঝাড়ি।