শান্তি প্রিয় কুসুমের মা, কাক সকালে উঠে,
হাঁড়ি পাতিল ঘষে মেজে, রান্না ঘরে ছুটে।
অর্ধ ডজন তার প্রিয়জন, কখন জানি জাগে,
ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়ে সে, চুলা ধরায় আগে।
নাস্তা পানি দিনের খাবার, তৈরি করা  শেষ,
সবাই উঠে খেয়ে সারে, বেলা উঠে  বেশ।

বড় ছেলে দোকান খুলে, বাবা যায় মাঠে,
ছোট মেয়ে গোসল করে, বাড়ির পুকুর ঘাটে।
বাবা মায়ে দোয়া করে, খেয়ে শান্তি পেয়ে,
কুসুমের মা বিশ্রাম নেয়, শান্তির  ঘুম দিয়ে।
বড় মেয়ে বিয়ের পর, গেলো পরের ঘরে,
ছোট ছেলে চাকুরি নিয়ে, গাড়ি ঘোড়ায় চড়ে।

ছোট  মেয়ে  কুসুম যখন, স্কুলের পথে হাঁটে,
বাবা তখন কাজ করে,  তার ফসলের মাঠে।
চাওয়া পাওয়া বেশি নেই, আছে তারা সুখে,
সারা দিন খেটে খুটে, সকল অভাব রুখে।
প্রতিটা দিন,  মাস বছর, ঘুরে ঘুরে  যায়,
দিন দুনিয়া যেমন চলছে, তাতেই  শান্তি পায়।

কিসের জন্য পাগল মানুষ? কিসে তাদের সুখ?
মারামারি ধরাধরি, রক্তে ভাসায় বুক।
অসৎ পথে রোজগার করে, জুটায় যখন অন্ন,
অপেক্ষায় আছে পর জীবন,  প্রাপ্তির খাতা শূন্য।
ঘরে ঘরে কুসুমের  মা,  যত দিন না হবে,
শান্তি  শান্তি  যত বলি, সবই  বৃথা যাবে।