ঝরে বৃষ্টি পড়ে জল গড়ায় অবিকল,
ঝর্ণা বেয়ে নিচে পড়ে দেখায় টলমল।
বৃষ্টি হলে পাহাড় চূড়ায়
উপর থেকে নিচে গড়ায়
দূর থেকে চোখে পড়ে ঝর্ণার ঝলমল।


সুর তুলে মেঘালয়ের সকল ঝর্ণাধারা,
সন্ধ্যা সাঁঝে দূর থেকে দেখায় সন্ধ্যাতারা।
জলের ছিটা মাথায় পড়ে
ঝর্ণায় গিয়ে গোসল করে
যারা যায় পাগল করে রূপটা মন কাড়া।


উপর থেকে নিচে এসে পড়বে অবিরত,
ঝর্ণা বেয়ে জল ঝরার নিয়ম চিরায়ত।
ঝর্ণার জলে যারা আসে
দীর্ঘ সময় জলেই ভাসে
মন খুলে সুখটা তার নেবেই সাধ্যমত।


রাতে যদি বৃষ্টি ঝরে দাঁড়ায় বারান্দায়,
সবাই এসে জড়ো হয় হোটেল কিনারায়।
ঝর্ণা থেকে একটু দূরে
পাহাড়খানি হোটেল মুড়ে
বৃষ্টি ঝরে ডেকে যায় রূপের বাহানায়।


ঝর্ণার জল নিচে পড়ে বাড়ায় গভীরতা,
উষ্ণ গায়ে স্পর্শ করে জলের শীতলতা।
পাহাড় তলে ঠাণ্ডা জল
পাথর জলের টলমল
স্পর্শ নিতে দর্শনার্থীর বাড়ায় আকুলতা।


ঝর্ণা থেকে জল ছিটে ভেজায় আঁচলখানি,
পাহাড় চূড়ায় ঝর্ণা দেখি তারই মধ্যমণি।
মেঘালয়ের আঁচলখানি
উপর নিচে টানাটানি
সারি সারি দর্শনার্থীর অপার বিনোদিনী।