বসন্তের ঊষালগ্নে রূপে ঝলমল,
মেঘনার বুকে চলা মাঝে ঘোলা জল।
কূলহীন জল ছুঁয়ে বাতাসের হানা,
নৌযানে আছে ভয় সকলের জানা।


ঢেউ ছুটে উঠে নামে ভাসমান তরী,
নির্ভয়ে ধীরে চলে নেই তড়িঘড়ি।
পারাপারের যাত্রীরা চুপচাপ বসে,
কখন সে তীরে যাবে হিসাবটা কষে।


মেঘনার মোহনায় এতো জল জমে,
সব জল টেনে নেয় সাগরের দমে।
মিঠাজল লোনাজল সব একাকার,
তরীঘেঁষা ঘোলা জল দেখি বারবার।


কাদা জলে পড়ে থাকা ভাটাপড়া টানে,
তরীগুলো চেয়ে থাকে জোয়ারের পানে।
জোয়ারের জল এসে ভেসে যায় টান,
মাল ভরা তরীগুলো দেখি ভাসমান।


সাগরের কূলঘেঁষা মেঘনার মুখ,
জেলেদের মনে জাগে মোহনীয় সুখ।
সুর তুলে জেলে নাও মোহনায় বায়,
রাতভর জাল ফেলে মাছ ধরে যায়।


মাছে ভরা তরীগুলো তীরে এসে ভীড়ে,
হাঁক তুলে ডাক উঠে সেই মাছ ঘিরে।
অবশেষে দেখা যায় যার ডাক বেশি,
টাল দেয়া মাছ তুলে সেই এলোকেশী।


মোহনায় বয়ে চলা ঝলমল পানি,
ঢেউ দেখে তাল উঠে মনে কেন জানি।
ঘুরে এসে ফিরে দেখে সব হয় চুপ,
সাগরের মোহনাতে মেঘনার রূপ।