ভাসছে আর হাসছে যারা খেলছে দোল খাচ্ছে,
রাস্তা ঘাটে কতো মানুষ শ্রমের তোড়ে ভাসছে ।
ন্যস্ত জীবন ব্যস্ত রেখে
জীবন চলে এঁকেবেঁকে
অন্ন আসে যেখান থেকে ঐ জায়গায় খাটছে ।


রিকশাওয়ালা খেটে যায় ঠেলাওয়ালা ঠেলে,
তারা কাজের মূল্য পায় নিজের কাজে গেলে।
দোকানদার কেনে বেচে
সেচওয়ালা পানি সেচে
নাচনেওয়ালী নেচে নেচে টাকার জাল ফেলে।


কর্মচারী অফিস করে বেতন নিয়ে ফিরে,
ব্যবসায়ীরা স্বপ্ন দেখে তার চালান ঘিরে ।
কৃষক মাঠে ফসল লাগায়
ভালো ফলের আশা জাগায়
ঠিকাদার কাজ ভাগায় খুশির জোয়ার নীড়ে।


মালি গড়ে ফুলের বাগান মালিক থাকে দূরে,
শ্রমিকদের ঘাম ঝরিয়ে মিলের চাকা ঘুরে।
রাঁধুনিরা চড়ায় হাঁড়ি
নিজের ঘরে বাড়ি বাড়ি
শ্রম বেচতে নর-নারী শ্রম বাজারের মোড়ে।


নিজেও তারা ভালো জানে কেনো কাজে যায়,
জীবন নিয়ে বেঁচে থাকতে আছে পেটের দায়।
ভিক্ষুকেরা ভিক্ষা করে
ভিক্ষার চালে হাঁড়ি চড়ে
জেলের জালে মাছ ধরে মাছ বেচেই খায় ।


যে যার জায়গায় কষ্ট করে তবু বাঁচতে চায়,
সুখের পিছে ঘুরে ঘুরেই সারা জীবন যায়।
কেউবা ধরে চুরির পথ
জেলেই শেষ জীবন রথ
উকিল দেবে অন্য মত কেউ নেবে না দায় ।


জীবন লীলা সাঙ্গ হলেও মোহ ভঙ্গ হয় না,
লাভ ছাড়া কারো জন্য কোনো কথা কয় না।
সারাজীবন মোহ থাকে
শাক দিয়ে মাছ ঢাকে
নিজ দোষ গোপন রাখে পরের ভালো সয় না।