বড় বড় ঢেউ উঠে তীরে দেয় হানা,
ঢেউ গেলে পড়ে থাকে লবণের দানা।
দ্বীপ ঘেরা চারিদিকে সাগরের জল,
জোয়ারের জল এসে ভাসে সমতল।


জল ঘেঁষা বন জুড়ে হরিণের পাল,
দলবেঁধে  ছুটে চলে থাকে মিল তাল।
মাঝখানে উঁচু ভূমি চারিদিকে নিচু,
ঢেউ উঠা জল ছুটে হরিণের পিছু।


চার আনি লোকালয় বারো আনি বন,
হরিণেরা বন জুড়ে তুলে জাগরণ।
দলবেঁধে তীরে এসে জল খেয়ে যায়,
নায়ে চড়ে চোখ যয় হরিণের গায়।


কেওড়ার নিচু বন ভেসে যায় জলে,
হরিণেরা জল খায় ভাটা শুরু হলে।
ঘন অরণ্য থেকে ছুটে আসে তীরে,
বারেবারে চোখ পড়ে হরিণের ভীড়ে।


জোয়ারের জল বনে করে ছলছল,
মন ভরে সুখ নিতে জনতার ঢল।
কূলে উঠা জল নামে ভাটা পড়া টানে,
যারা আসে ফিরে যায় লোকালয় পানে।


দক্ষিণা হাওয়া খেতে কত লোক আসে,
নিঝুম দ্বীপের কূল যারা ভালোবাসে।
হরিণের পাল আর সাগরের জল,
একসাথে দেখে নিতে বাড়ে কোলাহল।


সাগরের কূলে গিয়ে দিন কাটে সুখে,
কত লোক জড়ো হয় সাগরের বুকে।
জনতার ভীড়ে আজ কূল হারা খেই,
নিঝুম দ্বীপের আজ নিঝুমতা নেই।