পূর্ণ জোয়ার শুরুই হয় ঢেউটা দোলে দোলে,
সাগর জলের পাগল ডাক মনের তালা খুলে।
ভ্রমণকারী আসছে ঘুরে
নিঝুমদ্বীপে মনটা উড়ে
কেওড়া তলায় দিন দুপুরে হাওয়া মাখে চুলে।


ভেজা বালির উপর দিয়ে হাঁটা চলার মোড়ে,
তীরের কাছে বালু চরে লাল কাঁকড়া ঘুরে।
লাল কাঁকড়া রোদের টানে
দৃষ্টি ঘুরায় আকাশ পানে
কাছে গেলেই গোপন স্থানে পালিয়ে যায় দূরে।


চাঁদনী রাতে জোয়ার আসে নিঝুমদ্বীপ ভাসে,
দুপুর রোদে নিঝুমদ্বীপে অল্প জোয়ার আসে।
ভাটার টানে কাদার ফাঁকে
মাছ আটকায় বাঁকে বাঁকে
আটকা পড়া জলের তাকে খাবার খুঁজে হাসে।


জোয়ার পেয়েই শুরু করে পালের নৌকা ভাসা,
এই সময়ে দ্বীপবাসীর বাড়ায় যতো আশা।
পালের নৌকা স্থলে বসা
জোয়ার দেখে হয় ভরসা
নিঝুমদ্বীপের ভালোবাসা হৃদয় কোণে ঠাঁসা।


জোয়ার শেষে দেখতে পাই তীরের পাশ ঘেরা,
কূল কিনারায় দেখা মেলে বেড়ি জালের বেড়া।
সাগর জলে ভাটার টান
জেলের গড়া জালের বান
আটকা পড়া মাছের মান নিঝুমদ্বীপে সেরা।


বাংলা মায়ে এমন দ্বীপ আর কোনোটা নাই,
নিঝুমদ্বীপের মতো করে এমন মজা পাই।
তীরে যখন জোয়ার আসে
মনটা তখন শূন্যে ভাসে
নিঝুমদ্বীপের চতুর্পাশে জোয়ার দেখে যাই।