প্যারাবন গড়ে উঠা শোভাময় দ্বীপ,
গাছপালা জীবজন্তু ভরা সরীসৃপ।
জোয়ারের পানি নেমে ভাটা শুরু হয়,
হিংস্র জন্তু না থাকায় বনে নেই ভয়।


দিন শেষে রাত নামে আসে নীরবতা,
দ্বীপবাসী ঘরে ফিরে করে রসিকতা।
ভোর হলে চোখ খুলে নেমে যায় পথে,
শ্বাসমূল দেখে দেখে চলে কোনো মতে।


সাগরের তীর ঘেঁষা মূল সীমারেখা,
বন ঘুরে পেতে চায় হরিণের দেখা।
হাঁটা পথে দাগ দেখে মনোবল রাখে,
হরিণের পাড়া দেখে কাদামাটি মাখে।


রাত হলে দুয়ো তুলে শেয়ালের খনি,
শেয়াল আর হরিণের নেই বনাবনি।
সহজেই শিকারের সুর তাল জানা,
হরিণের পাল দেখে শেয়ালের হানা।


উড়ে আসা পাখি সব আগডালে বসে,
জোয়ারের পানি এসে ভরে যায় রসে।
সন্ধ্যা সাঁঝে কানে আসে পাখিদের সুর,
দ্বীপ থেকে লোকালয় ভাবি কতো দূর।


ঢেউ উঠে ছুটে আসে সাগরের পানি,
লোনাজলে ভেসে যায় দ্বীপ আটআনি।
কেওড়াতলা ভরে উঠে জোয়ারের জলে,
সুনসান নীরবতা মধ্যরাত হলে।


দিন শেষে হেঁটে যায় দ্বীপকূল ঘেঁষে,
ভয়ঙ্কর রাত কাটে এই দ্বীপে এসে।
নীরদর্শী পিত্ত যশে কেওড়াতলা যায়,
নিঝুমদ্বীপের নীরবতা সেই টের পায়।