নদীরে তুই ব্রহ্মপুত্র কেমন আছিস বল,
বসন্তের এ ঊষালগ্নে শান্ত এখন জল।
তরী বেয়ে যেদিক যাই
বদ্ধ জল দেখতে পাই
স্রোত পাক কিছুই নাই নিঝুম মধ্যস্থল।


ফাগুন হাওয়া শান্ত বলে জলে নাচন নাই,
ঘোমটা টানা পুরো জল স্থিরিকৃতই পাই।
খরস্রোতার ভ্রান্তি ছেড়ে
ছোট নৌকায় লগি গেড়ে
বলতো দেখি তোকে ছেড়ে কেমন করে যাই?


নিচে নেমে নদীর জল এখন গেলো কমে,
তরীখানি লগির চাপে চলছে দমে দমে।
উল্টোস্রোতে কেঁপে মনটা
লেগে যেতো ঘন্টার ঘন্টা
তরী বেয়ে শিহরণটা স্রোত ছাড়া কি জমে?


সুজন সখীর ব্রহ্মপুত্রে মরা নদীর ছাপ,
সুর তাল বিলোপ হয়ে তালের পালা মাফ।
জল তাল কিছুই নাই
তাল ছাড়াই গান গাই
সুর তাল যতোই চাই সবই পুড়ে সাফ।


জলশূন্য নদীর চরে মলিন মুখে মাঝি,
গভীর স্রোতের ব্রহ্মপুত্র হাঁটু জলের কাজী।
পাল বিহীন তরী চলে
মাছও নাই ঘোলা জলে
ব্রহ্মপুত্র এমন হলে এসেও বোকা সাজি।


উজান চরে জল নাই নিঃস্ব এখন নদী,
জলশূন্য এ ব্রহ্মপুত্র কাঁদছে নিরবধি।
সুজন সখী ফিরে আসতো
ব্রহ্মপুত্র ভালোবাসতো
ধেয়ে আসা ফারাক্কার জলটা যদি পেতো।