গ্রামেগঞ্জে ঘরে ঘরে আমন উঠে গেলো,
গায়ে খেটে তার ফল হাতেনাতে পেলো।
কৃষকের ঘরে এখন গোলাভরা ধান,
পিঠাপুলি খেয়ে খুঁজে ভাটা ভরা পান।


বাড়ি বাড়ি নবান্নটা শুরু হলো ধীরে,
পৌষের শেষে এসে শীতে কাঁপে নীড়ে।
ঘন সাদা কুয়াশাটা ক্ষণে ক্ষণে জমে,
বোরো ক্ষেতে পানি দেয় ঘামে তার শ্রমে।


বোরো চাষ শুরু হলো ব্যস্ত চাষী ভাই,
ব্যস্ততায় তার কাছে রাত দিন নাই।
ক্ষেতে গিয়ে কাজ করে তার স্বপ্ন ঘিরে,
সারাদিন মাঠে থাকে কাজ শেষে ফিরে।


নতুন ধানে বাড়ি বাড়ি আছে ছড়াছড়ি,
নবান্নে ঘরে ঘরে করে চিড়া মুড়ি।
কাজ থেকে ফিরে এসে কম্বল মুড়ি দেয়,
পেট ভরে খাবে বলে চিড়া মুড়ি নেয়।


কুয়াশাটা বেশি দেখে হাটে যায় দিনে,
পিঠাপুলি খাবে বলে গুড়চিনি কিনে।
রাত হলে জড়ো হয় নাতিপুতি এসে,
চুলা থেকে পিঠা তুলে খায় হেসে হেসে।


সন্ধ্যা হলে লেগে যায় রান্নাঘরে ভীড়,
খেতে বসে পাতে নেয় গুড়-মুড়ি-ক্ষীর।
ডালা ভরা মুড়ি নিয়ে দিনে বসে মাঠে,
গ্রাম বাংলায় নবান্ন এভাবেই কাটে।