বাতাসের উঠে আজ মরমর সুর,
কানে কানে বলে যায় শীত কত দূর
সূর্যটা ডুবে গেলে শিরশির লাগে,
আগমনী ঝাঁকুনিটা দিলো আগেভাগে।


শিশিরের কণাগুলো রাত হলে নামে,
কণাগুলো শেষ রাতে পড়ে ধুমধামে।
সন্ধ্যায় শুরু হয়ে ভোরে হয় শেষ,
পল্লীর কোল জুড়ে শুরু তার রেশ।


শিশিরের ছোঁয়া নিয়ে বেলা উঠে গায়,
চাষীভাই কাঁচি নিয়ে ক্ষেতে চলে যায়।
দড়ি কাঁচি সাথে নিয়ে পায়ে হেঁটে চলে,
কাঁচি দিয়ে পাকা ধান কেটে নেবে বলে।


ভোরের শিশির জমে ধান ক্ষেত জুড়ে,
সূর্যটা উঠে গিয়ে কড়া রোদ ছুড়ে।
চাষীভাই কাঁচি খুলে রোদ দেয় সায়,
শিশিরের দানাগুলো রোদে মিশে যায়।


দিনভর কাজ করে ধান তুলে ঘরে,
মন খুলে চাষীভাই তার গোলা ভরে।
পাকা ধান ঘরে তোলা তার যত দায়,
ধানগুলো ঘরে তুলে সেই সুখ পায়।


নব ফসলের সুর হেমন্তের দান,
চাষীভাই করে যায় তার গুণগান।
অঙ্গন ভরে তুলে মঙ্গল চায়,
হেমন্তের হাসিখুশি এই বাংলায়।


[উৎসর্গ : শ্রদ্ধেয় প্রিয় কবি শরীফ এমদাদ হোসেন তাঁর নিজ জমির ধান কাটার ভিডিও চিত্র ধারণ করে গতকাল ফেসবুকে পোষ্ট করেন; যা থেকে এই কবিতার সৃষ্টি।  তাই কবিতাটি তাঁকেই উৎসর্গ করলাম ]