শীত আর কুয়াশাটা চলে ঢিমেতালে,
পূর্বাকাশে রবি উঠে শুরু হয় লালে।
রোদের কিরণ যেনো ধীরে ধীরে বাড়ে,
কড়া রোদ শ্বাস নেয় পৌষের ঘাড়ে।


বেলা বেড়ে শুরু হয় গরমের হানা,
কুয়াশায় দখল নিতে রবি করে মানা।
হাড়কাঁপা শীত এলে যার আছে ভয়,
শ্রমজীবী কষ্টে পড়ে শীতে কাবু হয়।


শহরের বাড়িঘরে নামমাত্র শীত,
কিছু শীত নামে তবে গ্রামে বিপরীত।
আধা বেলা পড়ে থাকে কুয়াশায় ঢাকা,
শীত পড়ে বন্ধ রাখে জীবনের চাকা।


শিশিরের জলে ভিজে শীতলতা আসে,
পাড়াগাঁয়ে রোদে বসে খকখক কাশে।
চাদরটা মুড়ি দিয়ে শীতলতা ভুলে,
দলবেঁধে গল্পের রোদ আড্ডা খুলে।


হিম ভাব কেটে গেলে কাজে চলে যায়,
কেউ যায় আলু ক্ষেতে কেউ দাঁড় বায়।
সারাদিন কাজ শেষে খেয়ে-পরে ঘুরে,
সন্ধ্যায় জড়ো হয় বাজারের মোড়ে।


পাড়া গাঁ এখন আর অজপাড়া নাই,
কাজ শেষে চা-স্টলে ছুটে সাঁই-সাঁই।
দিন শেষে লাল চা-টা স্টলে বসে খায়,
বেলা ডুবে রাত হলে বাড়ি ফিরে যায়।