ঝুম বৃষ্টি ধুমধাম অবিরাম টানা,
আজ দেখি চাটগাঁয়ে প্লাবনের হানা।
জলমগ্ন পথঘাট এই যার হাল,
যানজট দূরে ঠেলে পথে ঝাঁকি জাল।


দলে দলে কালো মেঘ আকাশের গায়,
সারাদিন মেঘ দেখে দিন চলে যায়।
জলাবদ্ধ লোকালয় সারাদিন বৃষ্টি,
ঘিরে থাকা কালো মেঘ প্রকৃতির সৃষ্টি।


খেটে খাওয়া মানুষের পেটে তোলপাড়,
কাজ নেই তার হাতে আছে হাহাকার।
কাজের আশায় তার কেটে যায় বেলা,
এতে কারো হাত নেই বিধাতার খেলা।


একটানা দিনে-রাতে বৃষ্টির পর,
ভেসে যায় পথঘাট ভাসে বাড়িঘর।
শ্রাবণের শেষে এসে স্ফীত জলরাশি,
লোকালয়ে হানা দিয়ে কেঁড়ে নিল হাসি।


দিনরাত লাগাতার পড়ে ঝরঝর,
কষ্টটা দ্বিগুণ হয় বৃষ্টির পর।
পাহাড়ি ঢলের পর স্রোতধারা বয়,
মানুষের জানমাল তছনছ হয়।


ঘরের মেঝেতে উঠা প্লাবনের পানি,
কিলবিল সাপ জোঁক করে কানাকানি।
পেটের তাড়না আর বিচ্ছুদের ভয়,
ভয়ে থেকে ঘুম ছাড়া রাত পার হয়।


শ্রাবণের বরষণে প্লাবনের সৃষ্টি,
চারিদিকে স্রোতধারা সেইসাথে বৃষ্টি।
বিপদের সীমা নেই মনে হাহাকার,
খানা নিয়ে ঘরে বসে করে দরবার।