চীনা মাটির পাহাড় ঘেঁষা কাছেই মেঘালয়,
বিরিশিরির হৃদ স্পন্দন পিত্ত ডিম্বাশয়।
উথাল-পাতাল ঢেউ ছুটে ঘটে যে কারবার,
চিনামাটির পাহাড় দেখে মনটা একাকার।


মেঘালয় ও গারো পাহাড় পাশে দণ্ডায়মান,
হালকা স্রোতের সোমেশ্বরী মাঝেই বহমান।
পাহাড় চূড়ায় গারো পল্লী দীপ্ত শোভাময়,
শীতল জলের সোমেশ্বরী মনটা করে জয়।


সাদা মাটির চূড়ায় উঠে মনে পালকি দোলে,
মনের চোখ শ্যামল গাঁয়ে সব দরজা খুলে।
ঠায় দাঁড়িয়ে চোখে ভাসে মেঘালয়ের চূড়া,
কায়িক শ্রমে স্বার্থক হয় গারো পাহাড় ঘুরা।


আমার প্রাণের বিরিশিরি সুসং দুর্গাপুর,
মনের সুখেই ভুলে যাই গেলাম কতো দূর?
ক্লান্ত মনের ভ্রান্তির ছাপ পড়ে সবই ঢাকা,
পাহাড় চূড়ায় পূর্ণ করে মনের ছবি আঁকা।


বিরিশিরির শ্যামল ছায়ায় প্রাণে বাদ্য বাজে,
চূড়ায় উঠার এমন দৃশ্য সকাল সন্ধ্যা সাঁঝে।
শুকনো মনেই ঢেউ তুলে প্রাণের সোমেশ্বরী,
শীতল জলে গা ভাসাতে এমন টানে পড়ি।


বাড়ি ফিরতে চায় না মন শ্যামল ছায়া টানে,
মনের পালকি পড়ে থাকে বিরিশিরির পানে।
ভ্রমণ শেষে ফেরত যাই প্রমাদ গুনে গুনে,
বাংলা মায়ের বিরিশিরি সুরের স্বপ্ন বুনে।