তেলাপোকা খুজে ফিরে টিকটিকি ধরে,
সারাদিন বিড়ালটা ঘুরঘুর করে।
খাবারের আঁচ পেলে এক লাফে ছুটে,
টেবিলের কাছে যায় ভয় নাই মোটে।


তার পেটে খিদে পেলে করে ম্যাঁও ম্যাঁও,
আশা করে কাঁটা-মাছ দেবে কেউ কেউ।
চার পায়ে সারা ঘরে ছুটে সাঁই-সাঁই,
ডাক দিলে কথা শুনে শান্ত ভাব পাই।


ছোট কোন কাঠি-গুটি নিয়ে করে খেলা,
মচমচে কাগজেই নেচে যায় বেলা।
ঘন কালো আঁধারেই তেলাপোকা ধরে,
পোকা পেলে তাকে মেরে পরিষ্কার করে।


দুধ-ভাত মাছ- কাঁটা টেনেটুনে খায়,
ম্যাঁও ম্যাঁও ডাক তোলে আরো খেতে চায়।
তার পেট ভরে গেলে দূরে গিয়ে বসে,
মাথা নেড়ে মুখটাকে নিজ পায়ে ঘষে।


ময়না ডাক দিলেই দ্রুত ছুটে আসে,
কাছে এসে ধীর শান্ত বসে যায় পাশে।
তার গায়ে হাত দিলে পিঠ উঁচু করে,
সুরসুরি নিতে গিয়ে আরো তুলে ধরে।


নরমের আরামটা ঢের বেশি চায়,
আরামের ঘুম দিতে বিছানায় যায়।
ঘুম পেলে লাফ দিয়ে উঠে আসে খাটে,
এক কোণে শুয়ে পড়ে গুটিসুটি ছাঁটে।


মায়াময় চাহনিটা মনে লেগে থাকে,
আরো বেশি মায়া লাগে ম্যাঁও ম্যাঁও ডাকে।
সারা ঘর তোলপাড়ে যত তাকে দোষী,
মায়ার বাঁধনে পড়ে তবু তাকে পুষি।