তুমি তো মহাকবি! আসরে তুমি বিচরণ করো,
প্রতি কবিতার সারবস্তু,  টেনে হিঁচড়ে ছাড়ো।
শক্ত হাতে ধরো তুমি, টেনেটুনে ছিঁড়ে,
সব কবিতার  নাড়িভুড়ি, মাথামুণ্ডু ঘিরে।
কবিতাকে বলো, তুই  দাঁড়া, দাঁড়া দেখি ভাই,
ধরেছি তোর লেজে আজ, পড়ে দেখতে চাই।

তুমি তো মহাপাঠক! চিমটি দিয়ে ধরো,
ছাল চামড়া তুলে দিয়ে, গোশত হাড্ডি ছিঁড়ো।
কবিতাকে বলো তুমি, যাবি কোথায় বল?
সব বাঁদড়ামি ছেড়েছুড়ে, আমার সাথে চল।
যাকে তাকে খুঁজে ফিরিস, ফাঁকি দিয়ে চলিস,
কার হাতে পড়ছিস ধরা, পরে গিয়ে বলিস।

তুমি তো মহাসাধক! কবিতা তোমার ধ্যানে,
লাইন লেংথ ঠিক রেখে, কতজন তা মানে?
আমরা যখন ছন্দ লিখি, ছন্দ মাত্রার অভাব,
কবিতা! হোক না হোক, ছন্দ লিখাই স্বভাব।
হাজারটাকে বেছে বেছে, উল্টে পাল্টে দেখো,
এই সাধনা ছেড়ে এখন, কেমনে তুমি থাকো?

তুমি তো মহাজ্ঞানী! কবিতা তোমার জীবন,
নিজে পড়ে নিজে করো, নিজের কানে শ্রবণ।
নিরপেক্ষ বিচার করো, জ্ঞান-গরীমা নাই,
আমি কেনো সবাই বলে, এমন দেখতে চাই।
তবে কেনো লুকিয়ে আছো, আজ আমাদের ভুলে,
কালো পর্দা গুটিয়ে নাও, বেরিয়ে আসো খুলে।

তুমি তো মহাগুণী! পরের মঙ্গল চাও,
আমার মতো অকবিদের,  আপন করে নাও।
আজ আমাদের দূরে ঠেলে, কেমনে আছো নীড়ে?
পাহাড়সম আছো তুমি, সবার হৃদয় জুড়ে।
তোমার বুকে টেনে ধরো, তুমি তো সবার ভাই,
সারাজীবন পাশে থাকবে, এমন মার্শাল চাই।