৭.
গরম মুখে শরম নাই ভাত তো নয় ঢাকনা চোর,
মনরে তুই কেমন করে পানতা খেয়ে করলে ভোর?
আপন ঘরে সিঁধটা কেটে তুললে সুর ধরলে গান
মনটা পুড়ে করলে ছাই কেমন তর আকল তোর?


৮.
মনের জোর বাড়লো বলে তুতলা মুখে ফটলো খই,
আগুন চোখে মুগুর খেয়ে এখন বুঝো কেমন দই?
মাঘের শীতে ফাগুন ডেকে দায়টা বুঝি ভীমরতির
পড়তি বেলা ওজন রেখে হয়নি এটা মানানসই।


৯.
একটুখানি সবুর কর ঘাটের মাঝি ভাসুক চর,
আজ যে আমি ফূর্তিতে নাই আসলো বলে নতুন বর।
মনের সাকী পিছন ফিরে কথা বললে আগুন ঝরে
কণার সাথে মনার ভাব এটা আবার কোন খবর?


১০.
খটকা মনে মটকা টান ভদকা খেয়ে আগুন হই,
আগুন লাগা ফাগুন বনে পালের নাও কই গো সই?
আশার বাণী পাথর করে ক্লান্ত মনে ঘুমের ঘোরে
পাগল মনে আকাশ বেয়ে এই তো বুঝি উঠলো মই।


১১.
রাতের শেষে জোয়ার এসে বাড়লো বুঝি মনের জোর,
আঁচল তলে খেমটা তালে উঠলো দেখি পাগলা সুর।
ভাটার টান সামলে নেবো একটু পরে দেখতে পাবো
পাগলা নাচে সাগর জলে উল্টে যাবে জীবনপুর।


১২.
উড়ছে ঘুড়ি বাজায় তুড়ি দেখবে যদি আয়রে আয়,
নাচনে বুড়ি ঝুলের চুড়ি কোন সে মুখে ঘোমটা খায়।
হিজল তলে সুখটা নিতে নাচনেওয়ালী আসলো সাথে
মায়ার টানে চোখটা মেলে দেখলে যারে পরাণ যায়।