২৫.
ঝুমুর ঝুমুর তালে তালে করছো নাচ ধরছো সুর,
জীবন তরীর মোহে পড়ে ছুটছো বুঝি অনেক দূর?
রঙ্গ লীলা সাঙ্গ হবে দুই মুহুরী হিসাব চাবে
মোহের খেলা বন্ধ করে কবে ঘুরবে হুঁশের মোড়?


২৬.
দোলনা সাজে বংশী বাজে পায়ের ঝুমুর সেইসাথে,
ঘুঙুর তুলে নাচনেওয়ালী রঙের খেলায় মন মাতে।
নাচতে গিয়ে মনের সাথে রঙ মেশালো হাজার জন
রঙের তালে রাখলো নাতো বাজলো সানাই কোন হাতে?


২৭.
রঙমহলে ঝিলিক ঝিলিক হাততালিটাও সুর তুলে,
মনরে তোর হুশ ফিরে না ভাসলো যে মন কোন কূলে?
বাজীর দর নোংড়ামিতে ব্যস্ত রেখে শক্ত হাতে
বেহুঁশ হয়ে জীবন রথ ধ্বংস করলি পথ ভুলে।


২৮.
চোরকে ধরেই গালি দিস চোরের বাচ্চা বেজায় চোর,
মনরে তুই ভ্রান্তি ঢেলে বাপকে করলি দূরদূর।
নিজের ভাব সাফ না করে পরের গালির বোল মুখে
কেনরে মন গোনার বোঝা নিজের মুখে মাখলি তোর?


২৯.
যুগের হাওয়া যুগে যুগে তাল মিলিয়ে ভরছে ঘর,
পাগল-পারা মনরে তুই অনেক বড় স্বার্থপর।
চাঁদবদনী লক্ষ তারায় খোদাই করে নিজের নাম
হারায় ধন হারায় মান ঘরকে করিস ভাসানচর।


৩০.
লুঙ্গি ছেড়ে পেন্টটা পড়ে আপন মনে তুই হাঁটিস,
দিন বদলে জানান দিতে অতি প্রাচীন মত ঘাঁটিস।
আলতু করে ভাব না রে মন যুগটা ছিলো বাপ-দাদার
তাদের সম্পদ খেয়েপড়ে আজকে কেন রঙ বাটিস?