কতো মানুষ মরে যায় মরণ ফাঁদে পড়ে,
সাগরের তীরে গিয়ে ঢেউয়ের উপর চড়ে।
          সাগর জলে সাঁতার দেয়
          উল্টা স্রোত ভাসিয়ে নেয়
মন আনন্দে সাগর জলে তবুও দেখি ঘুরে,
মনের সুখে ভেসে যায় সাঁতার কেটে দূরে।


জলে নেমে ডাক শোনে না, মরণ বুঝি এলো,
উল্টা স্রোত টেনে হিঁচড়ে সাগর জলে নিলো।
          বিপদসীমা যে মানে না
          স্রোতের টান সে বুঝে না
জলে নেমে ভাসার জন্য সীমা কতো ছিলো,
উল্টা স্রোতে জলের নিচে গেলো কতো কিলো?


দুই দিক থেকেই ঢেউ এসে তীরে বাড়ি খায়,
উভয় ঢেউয়ে ধাক্কা খেয়ে উল্টা ফেরত যায়।
          ঢেউয়ে ঢেউয়ে বাড়ি খেয়ে
          সাগর তীরে ধাক্কা দিয়ে
ঢেউয়ের চেয়ে উল্টা স্রোত অনেক গতি পায়,
উল্টা স্রোতে পড়ে গেলে ফিরে আসা দায়।


বালি কেটে উল্টা স্রোত গভীর খাদে মিশে,
উল্টা স্রোত টেনে নিয়ে নিচে চেপে পিষে।
          না বুঝেই ভালোমন্দ
          জলে নেমে কি আনন্দ
স্রোতে পড়ে হুঁশ আসলেও হয় না কাজ হুঁশে,
চেষ্টা করে বাঁচতে গিয়েও মরে নিজের দোষে।


উল্টা স্রোতের উপর দিকে শান্ত দেখায় পানি,
শান্ত পানির উভয় দিকে ঢেউয়ের কানাকানি।
          উভয় ঢেউয়ের মাঝে
          শান্ত পানি নীলে সাজে
শান্ত দেখা নীল পানিটাই উল্টা স্রোতের খনি,
নীল পানিটা এড়িয়ে গেলে বেঁচে যাবো জানি।