সাম্পান জুড়ে পতাকা উড়ে, অনেক দূরে থাকে,
জাতীয় পতাকার পাশাপাশি, নিজ পতাকা রাখে।
সাগর জলে চলে সাম্পান, পতাকায় পরিচয়,
সাম্পান যখন গভীর জলে, দূরেই থাকে লোকালয়।
ঢেউয়ের তালে সাগর জলে, সাম্পানওয়ালা যায়,
আন্দাজ করে জাল ফেলে, যেখানে মাছ পায়।


আমি যখন সাগর তীরে, দক্ষিণমুখী হাওয়া,
মাছ ধরে সাম্পানওয়ালা, দেখি সাম্পান বাওয়া।
একজন উঠে মাথায় বসে, বৈঠা হাতে নেয়,
অন্যরা থাকে জাল হাতে, সাম্পান ছেড়ে দেয়।
সারি সারি সাম্পানওয়ালা, জাল ছাড়ে জলে,
সময় হলে জেলে দল, টেনেই জাল তোলে।


হাওয়ার তালে চলে সাম্পান, ধনুকের মত বাঁকা,
সাম্পান দেখেই শেষ হয়, মনের ছবি আঁকা।
এক মাথা নিচে নামে, অন্য মাথা ভাসে,
বৈঠা বেয়ে সাম্পানওয়ালা, মাঝ সাগরে আসে।
ভালো মাছ ধরা পড়লে, সাম্পানওয়ালা হাসে,
তার মনের খুশির জোয়ার, ঢেউয়ের সাথে মিশে।


সাম্পান দেখে মনে হয়, অর্ধচন্দ্র দোলে,
ঢেউয়ের চাপায় ডোবে ভাসে, যখন ঢেউ ফোলে।
মাছ ধরে তীরে সাম্পান, চাকায় তোলে ঠেলে,
জাল ভর্তি মাছ এনে, বালির উপর  ফেলে।
বালির উপর স্তুপের মাছ, নিলামকারী ডাকে,
যে পাইকার বেশি বলে, ধরিয়ে দেয় তাকে।


সাম্পানওয়ালা মাছ বেচে, টাকা নিয়ে যায়,
মাছ ধরে বেচে বেচে, সারা বছর খায়।
জলে নামে মাছ ধরে, মাছ ধরাই নেশা,
লোকে তাকে জেলে বলে, এটাই তার পেশা।
জলের ধারে সাগর তীরে, সাম্পানওয়ালা থাকে,
জেলে পাড়ায় বউ বাচ্চাদের, সুখে দুঃখে রাখে।