হেমন্তের পাদদেশে শিশিরের হাসি,
ঋতু সাজে বাংলার মাগো ভালোবাসি।
শিশিরের তোড়জোড় এই ঋতু শেষে,
দলে দলে পাখি গায় ভোর রাত এসে।


এমন মধুর স্মৃতি ঋতু ভেদে আসে,
খুশি মনে ছুটে যাই শিশিরের পাশে।
পাখি সব গান গায় বাড়ে কোলাহল,
সেইসাথে ঝরে পড়ে শিশিরের জল।


বাতাসের আনাগোনা ঋতু পরায়ণ,
একসাথে রোদ শীত করে অনশন।
শীতকাল আসে নাই গরমটা যায়,
ভোর হলে সুমধুর লাগে মোহনায়।


রবি উঠে মাঝি ভাই করে পারাপার,
তাপ লেগে শুরু হয় শিশিরের ছাড়।
পূর্বাকাশে চেয়ে থাকে টকটকে রবি,
মোহময় এ হেমন্তে বাংলার ছবি।


গ্রামীণ জনপদে কলরব উঠে,
কাজ নিয়ে মাঠেঘাটে ভোর হলে ছুটে।
শিশিরের জলে মাখা আধাপাকা ধান,
মাঠঘাট ভরে উঠে সমানে সমান।


ফসলের মুখ দেখে সুরে গান গাই,
মাঠ ভরা ধান ছুঁয়ে সব ভুলে যাই।
শিশির ভেজা এ ভূমি মাগো ভালোবাসি,
মন ভরে দেখে যাই শিশিরের হাসি।