বাংলার জনপদে কনকনে শীত,
সাবধান না হলেই হিতে বিপরীত।
কখন যে রবি উঠে তা তো বুঝা দায়,
সারাদিন ঢেকে রাখে ঘন কুয়াশায়।


অকারণ হাঁটাহাঁটি একেবারে নাই,
কাজ শেষে বাড়ি ফিরে ঘরে নেয় ঠাঁই।
বেলা শেষে লেগে যায় আঁধারের ছোঁয়া,
ঘরে বসে লোকে খায় মুড়ি-খই-মোয়া।


শীতের কাপড় গায়ে কান মাথা ঢাকা,
মানুষেরা ঘরমুখী পথঘাট ফাঁকা।
হাড়কাঁপা শীত লাগে কাঁপে থরথর,
আজ খোলা মাঠ নয় বেছে নেয় ঘর।


শ্রমজীবী মানুষের কষ্টটাই বেশি,
শীত আর কুয়াশায় তার মেশামেশি।
চাল ডাল আহরণে তার আছে দায়,
হিমবায়ু গায়ে মেখে কাজ করে খায়।


তেজহীন রবি আর নিস্তেজ ভোর,
মধুবনে আজ নেই গুণগুণ সুর।
বাড়িঘর ঝোঁপঝাড় কুয়াশায় ঢাকা,
শিশিরের জলকণা শিহরণ আঁকা।


বাতাসটা ভারী হয়ে জলকণা ভাসে,
কুয়াশার রূপ নিয়ে উড়ে উড়ে আসে।
গায়ে খাটা শ্রমজীবী আর ফুলবাবু,
বাংলার জনপদ শীতে আজ কাবু।