জীবন সায়াহ্নে এসে খুঁজি তৃণলতা,
এখনো যে পড়ে মনে বলি তার কথা।
শৈশব কৈশোর ছেড়ে শেষ ধারাপাতে,
শহুরে চিলেকোঠায় থাকি দিনেরাতে।
মাঝে মাঝে গ্রামে এসে যার কথা বলি,
তৃণলতা জেনে নাও মনে নিয়ে চলি।


শিশুকাল ছিল ভাল এলো যবনিকা,
তৃণলতা দেখে নাও নিভে দীপশিখা।
মাঝে মাঝে জেগে উঠে তৃণ তরু মায়া,
মনে শুধু এঁকে যাই সেই রূপছায়া।
দূরন্ত কৈশোর গেলো ভুলা বড় দায়,
ফিরে পেতে বারেবারে এই মন চায়।


তৃণলতা তুমি যেন এই মনে ছবি,
এখনো যে পূর্বাকাশে সেই রাঙা রবি।
বেলা উঠে খেলা নিয়ে সুমধুর গানে,
বারবার ফিরে আসি মায়াময় টানে।
খোলামেলা বাতাসের মর্মর ধ্বনি,
তৃণলতা স্মৃতি গাঁথা সুখকর খনি।


ছকবাঁধা  জীবনের ক্ষত দোলাচলে,
স্মৃতিগুলো মৃতপ্রায় লাভ নেই বলে।
আনমনে বলে যেতে তবু মনে চায়,
জানিনা তো এই মন কি জানি কি পায়।
মৃত মন প্রীত হয়ে স্মৃতি ধরে ডাকে,
ভুলো মন চলে যায় সেই বাঁকেবাঁকে।


চিলেকোঠা চিরসাথী তৃণলতা হারা,
শীতাতপে ভাল নেই মনাকাশে তারা।
কাঁদে মন কাঁদে প্রাণ গ্রাম ভালোবেসে,
অবসরে ছুটে গেলে তবে উঠে হেসে।
কাছে গেলে মন ভরে ফুটে উঠে কথা,
বলে যাই সুখে থেকো তুমি তৃণলতা।