শোভাময় বীথি আজ যার অপেক্ষায়,
তার নাম ভেবে নিতে মন চলে যায়।
মনোরম বীথিগুলো শরতের কূল,
সময়ের তাড়া খেয়ে ফুটে উঠে ফুল।


বর্ষার শেষে আজ রিমঝিম বৃষ্টি,
তার গায়ে পড়া শুরু শরতের দৃষ্টি।
আকাশটা নীল হয়ে মেঘ কেটে যায়,
শরতের দিনলিপি তার রূপ পায়।


শ্রাবণের গরমটা যত গ্লানিময়,
শরতের শেষে এসে বিতারিত হয়।
গা ঘেঁষেই বয়ে যায় সুশীতল বায়ু,
ধীরে ধীরে নিভে যায় গরমের আয়ু।


না শীত না গরম এ কালের রীতি,
তীব্রতর কোনোটার নেই ভয়ভীতি।
তাপ আর শীতলতা সমতাটা চায়,
গলা ছেড়ে কত গান কোকিলেও গায়।


হেমন্তটা কাছে এসে উঁকিঝুঁকি দেয়,
বাতাসটা টেনে টেনে আদ্রতা নেয়।
দিনে দিনে ফুটে উঠে শরতের নাম,
গরমকে দিয়ে যায় বিদায়ী সালাম।


প্রাণে আঁকা শরতের হলো আগমন,
বেড়ানোর সুযেগটা পাবে জনগণ।
সারি সারি কাশফুলে ভরে উঠে কূল,
খোকা খুকি হাতে নেয় শরতের ফুল।