ছোট বেলায় কমলা ছিলো আকাঙ্খিত ফল,
পরের হাতে কমলা দেখে জিভে আসতো জল।
দেশ-বিদেশ ঘুরে আসতো কমলা হাতে নিয়ে,
যৎসামান্য ভাগে জুটতো পরের বাড়ি গিয়ে ।
হঠাৎ হঠাৎ গ্রামেগঞ্জে কিঞ্চিৎ দেখা যেতো,
যার বাড়িতে রোগী থাকতো রোগীই শুধু খেতো।


এখন দেখি গ্রামেগঞ্জে পথে ঘাটেই মিলে,
কমলা এখন সহজলভ্য আন্ডা-বাচ্চাই চিলে।
এমন কোনো গলি নাই সারাটা দেশময়,
বলবে না কেউ ফলের দোকান কমলা ছাড়া হয়।
সব গলিতেই সারি সারি কমলা দেখে যাই,
মনে চাইলে হাত বাড়িয়ে হাতের কাছে পাই।


দোকান ছাড়াও ফেরিওয়ালা কমলা নিয়ে ঘুরে,
ইচ্ছে হলেই কিনতে পায় যেতে হয় না দূরে।
উর্বর এই দেশের মাটি প্রচুর কমলা হয়,
এখন দেখি দেশি কমলা করলো মন জয়।
আগে দেখেছি সব কমলা বিদেশ থেকে আনা,
দেশি কমলা বিদেশ যায় এখন সবার জানা।


এগিয়েছে দেশ, গোটা জাতি পণ্য রপ্তানি করে,
টাকা ছাড়াও ডলার এখন চলে আসছে ঘরে।
চালান দেয়ার মূল সুবিধা কৃষককুলও পায়,
কমলা ছাড়াও বহু জিনিস বিদেশ চলে যায়।
বাংলা মায়ের ঘরে ঘরে তার সুফল আসে,
মুক্ত বাজার চলে আসায় কৃষককুলও হাসে।


রাস্তাঘাটের উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে বলে,
নিজ দেশের পণ্য এখন সমান তালে চলে।
একটা আসে অন্যটা যায় যার যেমন লাগে,
প্রতিযোগিতা ধরে রাখতে সবার সাধ জাগে।
প্রভাত হলেই শুরু হয় কাজে যাবার পালা,
নিজের কাজ নিজে করেই পরে গলায় মালা।