ধরণীর ছায়াতলে ফুটে উঠে আঁখি,
সযতনে নিরাপদে সুশোভিত থাকি।
ভেসে উঠে দুই চোখে ধরণীর দ্বার,
অকাতরে জ্বালা দিয়ে হই পারাপার।


কোলে থেকে জ্বালা শুরু বোধহীন মন,
কিঞ্চিৎ দূরে গেলেই আসে ক্রন্দন।
সারা গায়ে লেগে থাকে আঁচলের ছায়া,
ঢেলে দেয় দুনিয়ার সব দয়ামায়া।


যত আছে জ্ঞানী গুণী যত বিশারদ,
জননীর ছায়াতলে বেশি নিরাপদ।
ভুল বুঝে কেউ যদি অপবাদ দেয়,
সন্তানের মুখ চেয়ে ঘাড়ে তুলে নেয়।


হাসিমুখে কত সুখ বলিদান করে,
বুক ভরা আশা নিয়ে পড়ে থাকে ঘরে।
প্রীতিমাখা আঁচলের যত গুণগান,
তাঁর কাছে শীত গ্রীষ্ম সমানে সমান।


দিন যায় কথা থাকে যত রামনাম,
মা জননী পায়ে পিষে পুরো ধরাধাম।
পড়ে থেকে কত হয় দুধ কলা বাসী,
তার কাছে বেশি দামী সন্তানের হাসি।


বড় হয়ে কেউ সাধু কেউ ঋষি চাষী,
রাজা রাণী না হলেও বলে ভালোবাসি।
দুনিয়ার মোহে পড়ে যত স্বপ্ন বুনি,
মা জননী যাই বলে তাই যেনো শুনি।