স্বপ্নডাঙ্গায় পদ্মারে তুই কেমন আছিস বল,
তোর সাথেই স্বপ্নডাঙ্গায় আমায় নিয়ে চল।
পূর্ব পশ্চিম উভয় কূলে
উদাম হাওয়া ঢেউ তুলে
বাংলা মায়ের এক মাটি পৃথক করলো জল।
তোর গায়ের স্রোতের জলে ভয়ের কারণ জানে,
কত যে প্রাণ ভাসিয়ে নিলি স্রোতের জলের বানে।
স্রোতের জল ভাসিয়ে নেয়
কাছে গেলেই শাসিয়ে দেয়
অধিক স্রোতে চলাফেরায় সবাই হার মানে ।
স্বপ্নডাঙ্গায় চলাফেরায় করবো না আর ভয়,
তুই শুধুই চেয়ে দেখবি সব পারাপার হয় ।
পদ্মাসেতু হওয়ার ফলে
ভয় পাবে না নদীর জলে
এপাড় ওপাড় পারাপারে ভয়কে করলাম জয় ।
দ্রুতগামী যানবাহনেই এপাড় ওপাড় যাবে,
উভয় কূলের স্বপ্নডাঙ্গা হাতের মুঠোয় পাবে।
মিনিট গুনেই হবে পার
উভয় ডাঙ্গা একাকার
স্রোতের জলের দীর্ঘ পথ সেতুই গিলে খাবে ।
পদ্মার ঢেউ মাড়িয়ে দিয়ে যখনই তুমি চলো,
এপাড় থেকে ওপাড় যেতে কতোই কষ্ট বলো।
একূল ওকূল দূরে ছিলো
পদ্মাসেতুই মিলিয়ে দিলো
সোনার বাংলা গড়ে উঠা সামনে এগিয়ে গেলো।
পদ্মারে তোর স্রোতের জলে সকল মানুষ ভীতু,
তোর স্রোতের জলের ভয় সবই এখন থিতু।
এখন তো আর ভয় পাবে না
স্রোতের জলে কেউ যাবে না
উভয় কূল কাছে টানলো স্বপ্নের পদ্মাসেতু।