সর্বনাশা পদ্মা তোর এতো কেনো জল,
তোড়ে পড়ে তোর আশা কে মিটাবে বল?
তীর ভাঙ্গে তীর যায় তবু পেট খালি,
ঘূর্ণি তুলে খেয়ে যাস সব ধূলাবালি।


জমিজমা বাড়িঘর সব খেয়ে শেষ,
ভাঙাগড়া খেলা নিয়ে আছিস তো বেশ।
এতো খাস তবু তোর রাক্ষসী সাজ,
তীর ভেঙ্গে পেট ভরা তোর কারুকাজ।


কান্নার রোল তোলে হাজার মানুষ,
ভূসম্পদ লুট করে তোর নাই হুঁশ।
তোর জলে মিশে যায় কান্নার সুর,
কান্না মেশা জল নিয়ে ঘুরপাক তোর।


হরিপুর গরীপুর নিশ্চিহ্ন করিস,
একটা হজম করে অন্যটা ধরিস।
এতো খেয়ে তবু তোর শুকরিয়া নাই,
বর্ষাটা ঘুরে আসলে অশান্ত পাই।


কত লোক তোর জন্য আজ মুসাফির,
নিঃস্ব হয়ে তীরে এসে করে বিড়বিড়।  
হাহাকারে বারবার ছুটে আসে তীরে,
তোর স্রোতে চেয়ে চেয়ে চুল টেনে ছিঁড়ে।


ভ্রান্তির ছাপ নিয়ে তোর চলাফেরা,
পদ্মারে তুই অশান্ত তুই বড় ত্যাড়া।
ভাঙ্গাগড়ায় কারো প্রতি রাখিস না শ্রদ্ধা,
তাই তোরে লোকে বলে সর্বনাশা পদ্মা।