সোহাগীকে মনে পড়ে দূরে থেকে আজ,
মন দিলে বসে আছে তার কারুকাজ।
অসময়ে বেজে উঠে স্মৃতি গাঁথা সুর,
প্রীতিময় স্মৃতি নিয়ে আজ বহুদূর।


শিশুকাল ছিলো ভালো দোল খেয়ে ঝুলে,
তার কথা ভেবে আজ মন প্রাণ দোলে।
মন ছিলো গাছে গাছে আজও মনে আছে,
কিশোরের হাতছানি প্রাণ খুলে নাচে।


গায়ে কত কাদামাটি কত খেলাধুলা,
সোহাগীর মাঠঘাট দিন-রাত খোলা।
জলাধারে আলোছায়া শান বাঁধা ঘাট,
বর্ষায় দেখা যেতো তলানীতে পাট।


দলবেঁধে শুরু হতো সাঁতারের খেলা,
সোহাগীর বাড়ি বাড়ি পুকুরের মেলা।
চৈত্রের কড়া রোদে থাকে হাঁটুজল,
দলে দলে জলে নেমে লাগে কোলাহল।


পাকা আম পাকা জাম তাল লিচু কলা,
সোহাগীর গাছ ভরা কত যায় বলা।
গাছে গাছে ফলগুলো পাকে প্রতিরোজ,
ফল খেয়ে দিনভর হতো ভুঁড়িভোজ।


বাড়িগুলো ছায়ানীড় সুপারীর গাছে,
ফলগুলো লাল হলে কাকাতুয়া নাচে।
জলে ভরা ডাব ছড়া উচু গাছে ঝুলে,
ডাব কাটা জল নিয়ে খায় মন খুলে।


মন চায় যাই চলে রেলে চড়ে বাড়ি,
স্মৃতি ভরা সোহাগীর স্টেশনটা নাড়ি।
এমন মধুর স্মৃতি কী করে যাই ভুলে,
এই মন পড়ে থাকে সোহাগীর কোলে।