কারুশিল্প জাদুঘর শান্ত সোনারগাঁয়,
কত ফুল ফুটে উঠে, কত পাখি গায়?
ছায়া ঘেরা পাখি ডাকা স্থায়ী জলাভূমি,
স্বচ্ছ জলে বৈঠা বায় কত সুমী রুমী।


নীল পদ্ম জলে ভাসে, পাতিহাঁস ঘুরে,
কত গান মনে জাগে উড়ু উড়ু সুরে।
লেকে গড়া সাঁকোগুলো মন প্রাণ কাড়ে,
সারি সারি ঝাউগাছ তার দুই ধারে।


হাতে গড়া কারুকাজ স্মৃতিময় সাজে,
গ্রাম বাংলার অস্তিত্ব মনে বীণ বাজে।
কিষাণের ভাস্কর্যে আঁকা ইতিহাস,
দেখে এসে চোখে ভাসে পুরো বারোমাস।


জাদুঘরে রাখা আছে দৃপ্ত অলংকার,
তাম্রপুঞ্জ শক্ত ভাবে মোড়া চারিধার।
মল্লযুদ্ধে ব্যবহৃত আর্য যন্ত্রপাতি,
অস্ত্র দেখে নাতিপুতি করে মাতামাতি।


সারিবদ্ধ বাদ্যযন্ত্র স্মৃতিচিহ্ন মাখা,
সুর তালে সুশোভিত বোধশক্তি আঁকা।
ঈশাখাঁ'র স্পর্শশিক্ত ঢাল তলোয়ার,
পাশে রেখে ছবি তুলে ইচ্ছা যার যার।


নদী ঘেরা পানাম সিটি পরিত্যক্ত পাবে,
ঘুরে দেখে প্রাণ ভরে মন ছুঁয়ে যাবে।
পানাম সিটি পরিপূর্ণ স্মৃতিচিহ্ন মোড়া,
স্মৃতিময় ইতিহাসে ধন্য হবে ঘুরা।