বনমালী মনে করে বাগানটাই বাড়ি,
গাছপালা ফুল-ফল তার ঘোড়া গাড়ি।
যত তার ধ্যান জ্ঞান গাছপালা ঘিরে,
বাগানেই পড়ে থাকে ভাবে আছি নীড়ে।


দিন যায় মাস যায় বনে ফুল ফুটে,
ফুল ফল নেবে বলে মালিকেরা ছুটে।
ঘামঝরা শ্রম যার তার দাম নাই,
মালি বলে শ্রম ঘিরে গায়ে খেটে খাই।


শ্রমজীবী মানুষের মনটাই খাঁটি,
শ্রম যত যায় যাক কাজ পরিপাটি।
হরিণের পাল দেখে কিবা আসে যায়,
কাদামাটি গায়ে মেখে শান্তনা পায়।


শ্রমটুকু তার কিন্তু সুবাসটা নয়,
বাগানের কাজে তার নেই নয়ছয়।
ফুলে ফলে ভরে দিতে খাটে পেটে ভাতে,
মজা গজা সব যায় মালিকের পাতে।


মালি আর মালিকের ব্যবধান বেশি,
তবু যেন কোনো কাজে নেই রেষারেষি।
শ্রম দিয়ে পেতে চায় মালিকের মন,
বিনিময় চাহিদাও অতি সাধারণ।


শ্রম আর সময়ের করে ব্যবহার,
শ্রমিকেরা আনুকূল্য পায় বিধাতার।
কাজ শেষে যাই পায় এটাতেই খুশি,
জগতের লোভাতুর মালিকেরা দোষী।


দুনিয়ার মুনাফায় মিছে মায়া টান,
যত টান তত পাবে আখিরাতে বান।
পরকাল ভালো চাও? বিধাতাকে ডাকো,
যার হাতে শ্রম নাও তাকে খুশি রাখো।