আজ দেখি আকাশটা ভরা কুয়াশায়,
রবি ঢাকা দুপুরটা অন্ধকারে যায়।
ঝিরিঝিরি বাতাসটা হয়ে উঠে ভারী,
কেঁপে উঠে কান-মাথা কাঁপে করোনারি।


মাঘ আর কুয়াশাটা এলো পাশাপাশি,
নিয়ে এলো শীত আর সেইসাথে কাশি।
হাড় কাঁপা কষ্টটা গরীবের বেশি,
মাঠেঘাটে গায়ে খেটে দৃঢ় হয় পেশী।


শীতল বাতাস আর মাঠে হাঁটুজল,
ঠাণ্ডায় জমে উঠে রাখে মনোবল।
শ্রমজীবী মানুষের দিন কাটে ঘোরে,
কাজ করে দাম নিতে শুরু করে ভোরে।


হিম হিম প্রবাহটা যত বেশি বাড়ে,
কাঁপুনির ঝাঁকুনিটা উঠে আসে ঘাড়ে।
কাজ নিয়ে মাঠে যেতে লাগে অসহায়,
গায়ে খেটে মানুষের তবু দিন যায়।


ভয় নেই ভারী শীত ঘন কুয়াশার,
দিন শেষে মজুরীটা যার দরকার।
খাঁটি মনে পেটে ভাতে কাজ করে যায়,
তাই নিয়ে খুশি থাকে যত টাকা পায়।


কুয়াশা না ভারী শীত ভাবনায় নাই,
শ্রমজীবী মনে রাখে তার কাজটাই।
সম্পদের চূড়া নাই আছে ভিটেমাটি,
রুজি আর রোজগার তার টাই খাঁটি।