ব্রহ্মপুত্র নদ তুমি যতো পড়ো মনে,
এ হৃদয়ে জলতরঙ্গ নাচে ক্ষণে ক্ষণে।
আছি দূরে মনে পড়ে তোমারই কথা,
নদ তুমি স্মৃতি জুড়ে ভেবে পাই ব্যথা।
কত ছবি এই মনে কলতানে আঁকি,
দূরে থেকে অভিমানে দিয়ে যাও ফাঁকি।


তীর ঘেঁষা যতো বেশি কাশবন জাগে,
ঢেউ তুলে জল দিয়ে ঢেকে দাও রাগে।
কাশবনে কাশফুল ঠায় খাড়া থাকে,
দোল খেতে মন চায় ঢেউ দেখে ডাকে।
কাশবনের পাশ দিয়ে তরী বেয়ে যায়,
গলা ছেড়ে মাঝিমাল্লা ভাটিয়ালি গায়।


তীর ঘেঁষা তরীগুলো ঘাটে এসে ভীড়ে,
পারাপারে কত লোক আসে দুই তীরে।
দিনে রাতে শুধু শুনি কলকল ধ্বনি,
নদ তুমি মন জুড়ে তুমি শিরোমণি।
কত লোক রূপ দেখে যতোখানি চায়,
রূপ দেখে মন ভরে বাড়ি ফিরে যায়।


সাদা মেঘ উড়ে যায় ছায়া পড়ে জলে,
ছায়ামাখা রূপ দেখি আরো টলটলে।
দিনভর সেজে থাকো তুমি কতোখানি,
মন প্রাণ ছুঁয়ে যায় আমি সব জানি।
তাড়া নেই জড়া নেই স্রোত বয়ে যায়,
জেলে ভাই ধরে মাছ থাকে কিনারায়।


চেয়ে দেখি মেঘগুলো দূরে গিয়ে থামে,
সারি সারি সাদা মেঘ ধীরে ধীরে নামে।
সাদা মেঘ কালো হয়ে ঝরে ফোঁটা ফোঁটা,
মেঘ এসে দিয়ে যায় তোমার গায়ে ছিটা।
দূরে থেকে আজ আমি ভাবি যোগসূত্র,
আছো তুমি প্রাণে আঁকা তুমি ব্রহ্মপুত্র।