এক যে ছিল অভয়ারণ্য অসীম সৌন্দর্যে ঘেরা,
দুই দেশের অন্তর্বর্তী নেই কাঁটাতারের বেড়া
হিংস্র সব জন্তু জানোয়ার করত কোলাহল
পর্যটকদের ভিড়ে যেন পরিবেশ হয়ে উঠত মনোহর ।
দৃষ্টিনন্দন সব জন্তু আর পাখির কলরব
ফুলের পাতাবাহারে চিত্ত হয়ে উঠত একমন ।
সিংহের গর্জন, শেয়ালের ডাক, গোধূলির অন্তে নেমে
ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের মুখে হাসি যেন না থেমে,
সম্পর্কে নেই কোনো টানাপরেন একে অপরকে নিয়ে
দুই দেশের মধ্যে মধুর বন্ধুত্ব অভয়ারণ্যকে দিয়ে ।


সকাল, দুপুর হোক কিংবা বিকেল আছে দর্শকদের ভিড়,
ভিড়কে সামাল দিয়ে পেরে উঠাই বড় মুশকিল
শিশুদের জন্য আনন্দের খোরাক তারা যেন মত্য
পাখির কুহুকুহু রবে রঞ্জিত হয় সবার চিত্ত ।
এলাকাটি যেন অতিশয়! বিশাল জঙ্গলে ঘেরা,
পশুপক্ষী হোক কিংবা ফুল সবই নতুনত্বে মোড়া ।
জঙ্গলে ঘেরা সৌন্দর্যে ভরা আছে মনে প্রাণে
পরদেশ থেকে ছুটে আসে নতুন সৌন্দর্যের টানে
স্নিগ সরস কোমল পরিবেশ আসত যেন গীত
অভয়ারণ্য যেন সৃষ্টি করেছে আনন্দময় প্রীত ।


আকাশ ভরা স্নিগ্ধ চঞ্চল রৌদ্রের ঝলকানিতে
অনন্ত রসে ভরপুর অভয়ারণ্যের আবছায়াতে
সামনে একটা বিশাল হ্রদ সবুজের ছায়াতে আচ্ছন্ন ।
চারিদিক থেকে বিশাল জঙ্গল সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন
বিপদগামী অরণ্যসড়ক জন্তু জানোয়ারের ডাক,
সন্ধ্যা হলেই ঘনিয়ে আসত নিঝুম এক রাত
কাকভোর হলে যখন সূর্য দেয় উকি
জীবজন্তুরা সবাই নিদ্রা থেকে উঠে চুপিচুপি ।
দিবাবেলা পর্যটকদের ভিড়ে যখন কোলাহলমুখর সময়
অভয়ারণ্য যেন চিনিয়ে দেয় প্রণয়ে ভরা মন্ময় ।


পর্যটকদের অফুরন্ত ভির সামলানো নাকো যায়না,
একের পর এক নতুন চমক মানুষ ক্লান্ত হয়না
অস্তিত্বএর সঙ্কটে যেসব জন্তু তাদের প্রিয় ক্ষেত্র
দুরন্ত শিকারি এক যে এক আছে তাদের তীক্ষ্ম নেত্র ।
হায়নার তীব্র গর্জন আর দক্ষিণারায়ের ফিস ফিস হুঙ্কার
সব মিলিয়ে যেন এক চমকপ্রদ মুহূর্তের স্বীকার
অরণ্যের মাঝে আছে এক বিশাল বটবৃক্ষ! অজানা,
তার নীচে গেড়ে বসে ভ্রমণকারীদের আস্তানা
রহস্যময় চমত্কারী এক সোনালি অভিজ্ঞতা
অভয়ারণ্যটি এক চিরবর্দান বানিয়েছিল যেন সৃষ্টিকর্তা ।