এক যে ছিল প্রত্নক্ষেত্র, নাম তার পিলাক ,
কালের স্রোতে বয়ে গিয়ে এখন প্রায় ধূলিস্যাত ।
রাজরাজাদের আমল থেকে এটি যেন গর্বের স্বাক্ষী
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে নতুনত্বের মুক্তি ।
হিন্দু-বৌদ্ধরাজাদের গর্বের ইতিহাস ছিল এটা জেগে ,
মাটির নীচে চাপা পরে এখন সেটা প্রায় মেটে
রাজনগরীর রাজচিহ্ন এটা গৌরবের দূত
সভ্যতার ক্রমবিকাশে চালনার পথে এখন সেটা স্তূপ ।
সুশাসন আর হিংসা উভয়ে দেখেছে সে
নগরায়নের ধাক্কায় ক্ষত পেয়ে টিকে রয়েছে যে ।


সহসা এটা দেখলে যেন মন আকুল হয়ে ওঠে ,
মনের নতুন আপন কোঠায় ভরে থাকে জেগে
শান্তির আপন পরম জায়গায় যেন স্বস্তি দেয়
প্রত্নতত্ববিদদের কাছ থেকে অজানা কোলাহল নেয় ।
গ্রীষ্ম,বর্ষা,শরৎ, হেমন্ত বারো মাস দেখে
অজানা অচেনা শিহরণ জাগায় নতুনভাবে মেখে ।
অবিভক্ত দক্ষিণ ত্রিপুরা তার অংশীদার কে ?
সভ্যতার ইতিহাস শিখিয়েছে এটা এক নতুনভাবে জানতে ।
মানুষ যখন জড়াকীর্ণ, দুঃখের বেড়াজালে আবদ্ব
নতুনভাবে জানতে শিখায় পিলাকের ছিল মহত্ব ।


সহস্র বছর ধরে টিকে রয়েছে এটা যেন স্মৃতি ,
বেলাশেষে যাবার পথে পাহাড়প্রমান মূর্তি ।
দিনের পর দিন ধূলোয় মাখা এটা ছিল সাবেক
অস্তিত্ব এর সংকটে টিকে রয়েছে জনগনের আবেগ ।
দিনের স্নিগ্ধ আলোয় যেটা জ্বলে উঠত ঝলমল
পূর্ণিমার দীপ্ত আভাতে সেটা হয়ে উঠত জ্বলজ্বল ।
বিষাদের সুর জেগে উঠে যখন পাওয়া গেল খুড়ে
ইতিহাসের পাতায় টিকে রয়েছে একটা হৃদয় জুড়ে
সময় এখন নতুন যুগে নতুনভাবে পিলাক ,
ধরণীর বুক এটে রয়েছে নিত্য নতুন সংলাপ ।