আজ হঠাৎ ভেসে উঠল
সেই রাত্রির করুন স্মৃতি
দরজা জানালা বদ্ধ
চারপাশে ঘেরাটোপ
তাহার মাঝে তোমার কান্নার আর্তনাদ
কী বীভত্স দৃশ্য!
দেওয়াল গুলি বলছিল আর না! এখন থামঃ
কিন্তু যন্ত্রনার সেই লহমা কী আদো ভূলা যায় ?
মৃত্যু ক্রন্দনের সেই আওয়াজ আজও
আমার কানে বাজে
জীবন ভিক্ষের সেই স্মৃতি আজও আমাকে বিধে
তবে দায়টা কার ?

কী করেই বা ভুলতে পারব
কী করেই বা বলতে পারব
নবাগত অতিথিকে
যা সেদিন তোমার কোল খালি করে এসেছিল।
সেও তোমার সাথে কেঁদেছিল;
নিজের মতো করে
তোমার কায়দায়
কিন্তু ধরতে পারিনি
নাভিরজ্জুর সেই বন্ধন ভুলতে পারেনি।
শুধু মুষ্টিবদ্ধ হাতে তার রেখাপাত করেছিল
বাইরের জগতের সাথে সে পরিচিত নয়।
  চারিদিকে শুধু কোলাহল
এর মাঝে নিজেকে কী করে মানাবে ?
কিন্তু তার চোখে ফুটে উঠেছিল মৃদু হাঁসি
  বুক চাপা সেই হাঁসি।
হাঁসির ছলে দুঃখ ভোলাবার একটি ফন্দি
কারণ সেও বুঝেছে আজ তুমি নেই।
মৃত্যু যন্ত্রণায় কষ্ট পেয়ে বন্ধন ছাড়া করলে।
দিয়ে গেলে এক্ঝাক কষ্ট
  আর তোমার কষ্টের ভাগ।
কতটুকুই বা বোধ তার
কী হাঁসি বা কী কান্না;
  তবুও তার চোখে যে ভেসে উঠেছিল আগামী দিনের তুমি হয়ে উঠার।
    কিন্তু প্রত্যক্ষে নয়।অলখ্যে।
তবে দায়টা কার ?

আজও সেই রাত্রিটা আমাকে ডাকে
  কথার অন্তরালে নিয়ে যায়
এক ভীরুতা কাপুরুষতার বাসায়।
  কারণ আমি চুপি করে বসেছিলাম ওইদিন
  কিছুই যে করতে পারিনি।
ভীরুর মতো শুধু তোমার করুন ছবি এঁকেছিলাম।
  সেই রাত্রিটা আমাকে এখনো আমাকে দায় করে
জানি তুমি করবেনা।
যদিও বা করো-
তার রূঢ় অর্থ বোঝার ক্ষমতা আমার নেই।
তবে দায়টা কার ?